বরাবর
পরিচালক
মাদ্রাসা হেদায়াতুল উম্মাহ্ ঢাকা
বিষয় : ভর্তির আবেদন প্রসঙ্গে
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে আমি অত্র মাদ্রাসার বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলার অঙ্গীকার করে ভর্তি হওয়ার আবেদন করছি। সে মতে আমি আমার জীবন বৃত্তান্ত নিম্নে পেশ করলাম।
অঙ্গীকার নামা
দ্বীনী ইলম হাসিল করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একজন নেককার বান্দা ও দ্বীনের খাদেম হওয়ার ইচ্ছায় মাদ্রাসা হেদায়াতুল উম্মাহ্ ঢাকা এর একজন নিয়মিত ছাত্র হওয়ার আশায় আমি ওয়াদা করছি যে,
১. জীবনের সকল ক্ষেত্রে শরীয়তের হুকুম আহকাম পুরোপুরি মেনে চলব।
২. সুন্নতে নববীর অনুসরণ এর সাথে সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি সদা সচেতন থাকব।
৩.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে ও তাকবীরে উলার সাথে আদায় করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকবো এবং প্রতিদিন নিয়মিত তাহাজ্জুদ ইশরাক ও আওয়াবীনের নামাজ পড়ব।
৪. মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি পূর্ণ আদব ও সম্মান প্রদর্শন করে চলাফেরা করব।
৫.ছাত্র ভাইদের সাথে ভদ্রভাবে চলাফেরা করব কারো সাথে কখনো কোন প্রকার ঝগড়া বিবাদ করব না।
৬. ছুটির পর মাদ্রাসা খোলার নির্ধারিত তারিখে অবশ্যই উপস্থিত থাকব।
৭.কোরআন শরীফ, গিলাফ, রেহাল, মাদ্রাসার সকল আসবাবপত্র বিশেষ যত্ন সহকারে রাখবো অত্যন্ত আদবের সাথে ব্যবহার করব এবং মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করব।
৮.সর্বদা মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন ও সময়ানুবর্তিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব।
৯. কোনরুপ সংগঠন ও ফিতনা ফাসাদ হতে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখব, এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজে জড়িত থাকবো না।
১০.কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মাদ্রাসার বাহিরে যাব না।
অভিভাবকের জ্ঞাতব্য
১. অভিভাবককে প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার পরিচালকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা একান্ত জরুরী।
২. ছাত্রের ছুটি কিংবা ছাত্রকে নেওয়ার জন্য পরিচিত অভিভাবক ব্যতীত অন্য কেহ আসলে ছাত্রের অভিভাবক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সন্তোষজনক প্রমাণপত্র না পেলে তা গ্রহণ করা হবে না।
৩. মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত সকল প্রকার বিধি-বিধান সর্বাবস্থায় মেনে চলব।
৪. সংশ্লিষ্ট ছাত্র কোন অবস্থাতেই যেন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখব।
৫. প্রতি ইংরেজি চলতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে খোরাকি ও বেতনের টাকা পরিশোধ করব অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ছাত্রের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা স্থগিত হলে এর জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকই দায়ী হবেন।
৬. যদি কোন ছাত্র ভাংতি মাসে চলে যায় তাহলে বেতনের পূর্ণ টাকা এবং যতদিন খানা খাবে ততদিনের টাকা পরিশোধ করব। এতে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের কোনরূপ আপত্তি থাকবে না।
৭. কোন রূপ বাহানা দেখাইয়া মাদ্রাসার বেতনের টাকা না দিলে, জবাব দিতে হবে পরকালে।
৮. কেহ যদি মাদ্রাসার নির্ধারিত বেতন থেকে কম সাব্যস্ত হয় তাহলে বন্ধ- ছুটি কাটা, অনুপস্থিত থাকলে তার জন্য কম দেওয়ার সুযোগ নেই। কোন আপত্তি ও চলবেনা।